আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

Latest News:
স্মৃতিচারণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্মৃতিচারণ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

আমার প্রথম রক্তদান

সালটা ছিল যথাসম্ভব ২০০৯। আমার ছোট মাসির হঠাত প্রসব ব্যাথা উঠলে সিলেট এমএজি ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। রাতে যদি ঔষধ বা অন্য কোন জরুরী প্রয়োজন পড়ে তাই সেদিন রাত্রে লন্টু ভাগনা ও আমার উপর দায়ীত্ব পড়লো ওয়ার্ডের বাইরে অবস্থানের জন্য।

আমি আর লন্টু ভাগনা মোবাইল ব্রাউজিং করে মশার কামড় খেয়ে খেয়ে রাত প্রায় কাটিয়ে দিচ্ছিলাম। হঠাত ভোর চারটার দিকে লক্ষ্য করলাম কয়েকজন মানুষ ত্রস্ত পায়ে বারবার এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করছে। তাদের অস্থিরতায় বুঝতে পারলাম কোন বড় ধরণের সমস্যা হয়েছে। নার্স ও ডিউটি অফিসারের সাথেও ক্ষণে ক্ষণে আলাপ করতে দেখলাম।

আমার আবার নিজ থেকে অতি আগ্রহ দেখানোর অভ্যাস কম। কিন্তু তাদের উৎকণ্ঠা আর অস্থিরতায় বসে থাকতে পারলাম না। কাছাকাছি গিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম। আমি আর লন্টু ভাগনা ওদের সাথে কথা বলে জানলাম, একজন প্র্যাগন্যান্ট মহিলার জন্য ইমিডিয়েট ২ব্যাগ এ পজেটিভ (এ+) রক্ত দরকার। কিন্তু তারা অনেক চেষ্টা করে মাত্র এক ব্যাগ রক্ত জোগাড় করতে পেরেছে। এখন আরো এক ব্যাগ রক্ত না হলে অপারেশন করা যাবেনা।

আমি জানতাম আমার রক্তের গ্রুপ এ পজেটিভ। কিন্তু এর আগে কখনও রক্ত দেয়া হয়নি। খানিকটা ভীরু ভীরু কন্ঠে বললাম, আমি যতোটুকু জানি আমার রক্তের গ্রুপ এ পজেটিভ। আপনারা আরেকবার চেক করে শিওর হলে আমি রক্ত দিতে পারি। মুখে বলছিলাম ঠিক কিন্তু একটু ভয় ভয় করছিল।

লন্টু ভাগনা পাশ থেকে চিমটি কাটলো। ভয় করলেও আমি অটল থাকলাম রক্ত দেবোই। রোগীর অভিভাবকরা আমাকে মেডিকেলের প্যাথলজি বিভাগে নিয়ে গেলেন। রক্ত পরীক্ষা করে আমার রক্তের গ্রুপ কনফার্ম হলেন। বেডে শুইয়ে সুঁচ গেঁথে দেয়া হলো ডানহাতের একটি শিরাতে।

প্রথম যখন রক্ত টানা শুরু হলো তখন চোখে অন্ধকার দেখলাম। মাথাটা ঝিম ঝিম করতে শুরু করলো। শরীরটা দূর্বল হয়ে এলো। ওই অবস্থাতেই নিজেকে খানিকটা ভতসর্না করলাম। কি দরকার ছিলো নিজ থেকে বিপদ ডেকে আনার!!!!!

ধীরে ধীরে শরীর খানিকটা স্বাভাবিক হলো। প্রাথমিক অবস্থার মতো দূর্বল লাগছেনা। রক্ত দেয়া শেষ হলে একটা ডিম আর ম্যাংগো জুস দেয়া হলো খাওয়ার জন্য। শরীরে খানিকটা শক্তি ফিরে পেলাম।
সবেচেয়ে আশ্চর্য্যন্বিত হয়েছিলাম, আমি যখন চলে আসবো তখন ওই রোগিনীর স্বামী আমার হাতে পাঁচশ টাকার দুটি নোট গুঁজে দিতে চাইলেন!!!!!

আমি তো রীতিমতো অবাক! আমি জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার!

রোগিনীর স্বামী বললেন, এটা কিছু না ভাই। কিছু কিনে খাবেন।

আমি এবার রীতিমতো অপমানিতবোধ করলাম। আমি কোন উত্তর দেয়ার আগেই ডিউটি অফিসার রোগিনীর স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, এটা আপনি কি করলেন? আপনি একটু আগে যে বিপদে ছিলেন তাতে করে উনি আপনার কাছে বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা চাইতে পারতেন। উনি স্বেচ্ছ্বায় রক্ত দিয়েছেন বলেই এতো রাতে রক্ত পাওয়া গেল। আর আপনি কিনা উনাকে টাকা দিয়ে ছোট করছেন !!!!!!!!!

রোগিনীর স্বামী লজ্জ্বা পেলেন বোঝা গেল। তিনি টাকাটা নিজের পকেটে ফিরিয়ে নিলেন। ততোক্ষণে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, মাসীর খোঁজ নিয়ে মেডিকেল থেকে বেরিয়ে এলাম।

সেদিন বিকালেই মাসিকে দেখতে গিয়ে ওই রোগিনীর খোঁজ নিলাম। সেই বোনটির পাশে একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তান দেখতে পেয়ে আমার ভীষন ভালো লেগেছিল।

আমার বন্ধু এমরান


ফার্মের মুরগীর মতো আর দশটা শহুরে শিশুর মতোই বদ্ধ পরিবেশে আমার বেড়ে ওঠা। তারপরও অল্প কিছুদিন দুরন্ত শৈশবের খানিক পরশ পেয়েছিলাম বন্ধু এমরানের সৌজন্যে।

আমার যখন পাঁচ বছর বয়স, বাবা সিলেটের শহরতলী আখালিয়ার হাওলাদার পাড়ায় (বর্তমানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত) মজুমদার ঠিলার পাদদেশে নতুন বাসা বানিয়েছেন। গুটিকয়েক পরিবার মাত্রই এখানে বসত গড়তে শুরু করেছে। অল্প সংখ্যক বাড়ি থাকায় এলাকাটা এক অর্থে খুবই নীরব ও শান্ত
 
আমাদের বাসা থেকে খানিকটা দূরেই থাকতো এমরান। ওর বাবা এখানকার একটা নার্সারিতে কাজ করতেন। সেই সুবাদে ওরা ওই নার্সারিতেই ছোট্ট একটা বাঁশের বেড়া দেয়া ঘরে থাকতো। সে আমার থেকে হয়তো দু-এক বছরের বড় হয়ে থাকতে পারে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার সাথে আমার বেশ ভাব হয়ে গেল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওদের নার্সারিতে চলে যেতাম। ওদের নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা ছিল। তবে নারকেল গাছের চারাই ছিল সংখ্যায় বেশী। এমরানের বাবাকে দেখতাম কোদাল দিয়ে জমির মাটি আলগা করে দিতে, নিড়ানি দিয়ে গাছের আগাছা পরিস্কার করে দিতে।

এমরানদের নার্সারির পেছনেই ছিল একটা অগভীর কিন্ত প্রশস্ত ছড়া (ছোট ঠিলার মাঝ দিয়ে চলা ছোট প্রাকৃতিক খালকে ছড়া বলে।)। প্রায় প্রত্যেকদিন এমরান ও আমি ওর বড়শী নিয়ে ওই ছড়াতে চলে যেতাম। এমরান মাটি খুঁড়ে জির (কেঁচো) খুঁজে বের করতো। তারপর সেটা বড়শীর মাথায় গেঁথে দিয়ে বড়শীর সুতাটা পানিতে ফেলে দিতো। ছড়াতে যে খুব একটা মাছ ছিলো তা নয়, প্রত্যেকদিন যে মাছ ধরা পড়তো তাও নয়মাঝে মাঝে ট্যাংরা, পুঁটি আর ভাগ্য ভালো হলে বড়জোড় কই মাছ ধরা পড়তো।

একদিন হয়েছে কি, প্রথমে কয়েকটা পুঁটি মাছ ধরে আমরা তা রাখলাম বাঁশের ঝুড়িতে। তারপর মোটামুটি বড় দুইটা কই মাছ ধরা পড়লে তাও রাখলাম ওই ঝুড়িতে। তারপর আরো কিছু পুঁটি মাছ ধরা পড়লে সেগুলোও রাখা হলো ঐ ঝুড়িতেঝুড়ির মুখটা কলসের মুখের মতো সরু ছিল, তাই বাইরে থেকে ভেতরটা ভালো করে দেখা যাচ্ছিলোনা। সেদিনের মতো মাছ ধরা শেষ হলে এমরানদের নার্সারিতে ফিরে কয়েকটা নারকেলের চারার আড়ালে দাঁড়িয়ে মাছভর্তি ঝুড়িটা মাটির দিকে উপোর করে ঢালতেই আমরা দুজনে তাজ্জব হয়ে গেলাম। মাটিতে শুধুমাত্র দুটো কই মাছ লুটোপুটি খাচ্ছে, সব পুঁটি মাছ উধাও! আমরা হতভম্ব হয়ে একে-অপরের দিকে আশ্চর্য্য চোখে তাকিয়েই ভয় পেয়ে দিলাম ভোঁ-দৌড়আজ ভাবলে হাসি পায়, আমরা তখন কি আর জানতাম কই মাছ একটি রাক্ষুসে মাছ!

প্রায়দিনই কাদা-পানিতে নেয়ে যখন বাসায় ফিরতাম তখন সূর্য্য ঠিক মাথার উপরে থাকতো। চুপিচুপি ঘরের কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকতাম, আগ বাড়িয়ে মাকে ডাকতাম না। তারপর মা দেখতে পেলে খানিকটা উত্তম-মধ্যম দিয়ে স্নান করাতেন। স্নান করার পর সবচেয়ে বিরক্ত লাগতো গায়ে সরিষার তেল দেয়া। তখনও বডি লোশনের এতোটা প্রচলন হয়নি। সরিষার তেল গায়ে-মুখে দিলে খুব জ্বলতো, যা আমার খুব অস্বস্তি লাগতো। তারপর খাইয়ে-দাইয়ে মা আমাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতেনআমিও লক্ষী ছেলের মতো ঘুমের ভান করে ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকতাম, আর তক্কে তক্কে থাকতাম মা কখন ঘুমোবেন। যখন মোটামুটি নিশ্চিত হতাম মা ঘুমিয়ে পড়েছেন তখন পা টিপে টিপে বিছানা থেকে নেমে বেতের মোড়াটাকে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যেতাম, তারপর মাঝখানের ছিটকিনি খুলেই দিতাম দৌড়। বাইরে আগে থেকেই অপেক্ষা করতো এমরান। তার হাতে থাকতো ঘুড়ি, নাটাই। এমরান আর আমি তরতর করে উঠে যেতাম মজুমদারের ঠিলায়। ঠিলা দিয়ে উঠার সময় মাঝে মাঝে চোখে পড়তো বনমোরগ। বনমোরগের কথা এখন চিন্তা করাই কল্পনা। ঠিলা বেয়ে উপরে উঠতে আমার খুব কষ্ট হতো। এমরান আমাকে হাত ধরে ধরে উপরে নিয়ে যেতো। উপর উঠে আমরা একটা শিমুল তুলা গাছের নিচে দাঁড়াতাম। আমি ঘুড়ি উড়াতে পারতাম না। এমরানের হাতে থাকতো নাটাই। আমার কাজ ছিল সুতাসহ ঘুড়িকে খানিক দূর নিয়ে যাওয়া তারপর সেটাকে বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া। আর এমরান নাটাইকে নেড়ে নেড়ে ঘুড়িকে বাতাসে ভাসিয়ে অনেক উচু পর্যন্ত উঠাতো। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত চলতো আমাদের ঘুড়ি ওড়ানো। যেদিন বেশী সন্ধ্যা হয়ে যেত, সেদিন ঠিলা থেকে নামার সময় শেয়ালের মুখোমুখি হতে হতো। আমি ভীষণ ভয় পেয়ে যেতামএমরান আমাকে সাহস দিত, আর শেয়ালকে তাড়িয়ে দিত।

আমাদের বাসা থেকে খানিকটা দূরে একটা চালতা গাছ ছিল। জায়গাটা খুব নীরব ছিল। চালতা গাছের কাছাকাছি একটা বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে কখনো মানুষজন দেখেছি বলে মনে পড়ছেনা। তো মাঝে মাঝে আমি আর এমরান ঐ চালতা গাছের নিচে চলে যেতাম। প্রায়দিনই গাছের নিচে চালতা পড়ে থাকতো। আমরা সেগুলো কুড়িয়ে নিতাম। চালতা গাছের পাশের পুকুরের লাল শাপলা দেখে মুগ্ধ হতাম। এমরানকে দেখতাম শাপলার আঁটি পানি থেকে তুলে চিবুতে। আমার ঘেন্না করতো তাই  আমি চিবোতাম না।

এভাবেই আরো কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে আমার শৈশবের একটা মুহুর্ত্ব কেটেছিল। তারপর একদিন এমরানরা নার্সারি ছেড়ে চলে গেল। আর সেই সাথে  আমার দূরন্ত শৈশবের মৃত্যু ঘটলো। আমার বাবা-মা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন আর আমি পরিণত হলাম সত্যিকারের ফার্মের মুরগীতে।

বন্ধু এমরান কোথায় আছে, কেমন আছে জানিনা। তবে এখনও ওকে অনেক মনে পড়ে। আমাকে এক টুকরো দূরন্ত শৈশব উপহার দেয়ার জন্য তোকে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু । যেখানেই থাকিস, ভালো থাকিস বন্ধু

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

স্নেহে আর্দ্র শিক্ষক আমার



স্কুল জীবনে যে জিনিসগুলো ভয় পেতাম তার একটি হলো গ্রীষ্মের কড়া রোদে দাঁড়িয়ে এসেম্বলীতে অংশগ্রহন করাএসেম্বলী ফাঁকি দেয়ারও কোন সুযোগ ছিলোনাস্যাররা ক্লাস থেকে খুঁজে খুঁজে ছাত্রদের বের করে আনতেনতাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সমাবেশে অংশ নিতে হতো

তখন ক্লাস সিক্সে পড়িকড়া রোদে এসেম্বলীতে দাঁড়িয়ে আছিজাতীয় সংগীত চলাকালীন হঠাত চোখে অন্ধকার দেখলামকিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার সামনে দাঁড়ানো ছাত্রের গায়ে ঢলে পড়লামআমি মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম ঠিক কিন্তু অজ্ঞান হইনিআমাদের ক্লাসের সারির কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আমাদের ক্লাস টিচার শিশির (শিশির চন্দ্র হাওলাদার) স্যারআমাকে পড়ে যেতে দেখে স্যার দৌড়ে এলেনতারপর যে ঘটনা ঘটলো তা আমার জীবনে বাঁধিয়ে রাখার মতো একটা ঘটনাস্যার আমাকে কোলে তুলে নিয়ে অফিস রুমে চলে গেলেনশিশির স্যারের পিছু পিছু আমার অন্যতম প্রিয় শিক্ষক প্রয়াত আবু হেনা চৌধুরী স্যারও অফিস রুমে এলেন

শিশির স্যার একটা শক্ত কাগজ নিয়ে আমার মাথায় বাতাস করতে লাগলেনআর বারবার জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, এখন কেমন লাগছে?

আবু হেনা স্যার চিনি আর লবন দিয়ে নিজ হাতে দ্রুত এক গ্লাস শরবত নিয়ে এলেনতারপর একহাতে আমাকে শরবত খাইয়ে দিলেন, আরেক হাতে মাথায় শান্তির পরশ বুলিয়ে দিলেনশিশির স্যার তখনও বাতাস করে চলেছেনশরবত খেয়ে যখন একটু আরাম বোধ করছি তখন শিশির স্যার জিজ্ঞেস করলেন, আমি ক্লাস করতে পারবো কিনা? আমি হ্যাঁ বা না বোধক কোন উত্তর দিলাম নাস্যার বললেন, তাহলে আজ আর ক্লাস করে লাভ নেইচলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি

অনেকক্ষণ থেকেই আমি ঘোরের মধ্যে আছিস্কুলের সবচাইতে জনপ্রিয় দু-দুজন স্যার আমাকে শুশ্রুষা করছেন, আদর করে বাতাস করছেন, শরবত খাওয়াচ্ছেন আমি নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিনাআমি স্যারকে বললাম, না স্যার ক্লাস করতে পারবো
তখন আবু হেনা স্যার বললেন, ক্লাস করতে না পারলে বলোআমরা কেউ একজন তোমাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসবো

ততোক্ষণে আমি অনেকটাই ধাতস্থ হয়ে উঠেছিএখন আর দূর্বল লাগছেনাআমি আবার বললাম, ক্লাস করতে পারবোস্যাররা আর জোর করলেন নাশিশির স্যার বললেন, বসো আমি ক্লাসে যাওয়ার সময় আমার সাথে ক্লাসে যাবে

আমার দুজন প্রিয় শিক্ষকের এই ভালোবাসা আর মমত্ব আমি আমার জীবনেও ভুলতে পারবোনাস্যারদের এই ভালোবাসা আমার পরম পাওয়া

স্কুল ছেড়েছি নয় বছর হয়ে গেলকিন্তু এখনও ভুলতে পারিনা এরকম টুকরো টুকরো স্মৃতিখুব বেশী মিস করি দি এইডেড হাই স্কুলের আবু হেনা স্যার, শিশির স্যার, শামসুদ্দিন স্যার, হামিদুল হক চৌধুরী স্যার, নীলোৎপল স্যার, সমীরণ স্যার, পিংকু স্যার, শমসের আলী স্যার সহ অন্যান্য স্যারদের
Copyright © 2014 রিপন ঘোষের খেরোখাতা All Right Reserved
^
Blogger দ্বারা পরিচালিত.