আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

Latest News:

সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

কীনব্রীজ: সিলেটের প্রবেশদ্বার



সিলেটের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ক্বীনব্রীজ। ক্বীনব্রীজকে বলা হয় সিলেটের প্রবেশদ্বার। ব্রিটিশ আমলে আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর স্যার মাইকেল কীনের নামানুসারে এই ব্রীজের নাম রাখা হয় ক্বীনব্রীজ। তখন বৃহত্তর সিলেট জেলা আসাম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

একবার স্যার মাইকেল ক্বীনের সিলেট সফরে আসার জন্য সুরমা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে রেলওয়ে বিভাগ ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দে সুরমা নদীর উপরে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যেগ নেয়। ১৯৩৬ সালে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য ব্রীজটি খুলে দেয়া হয়। এই ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ১১৫০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। ঐ সময়েই ব্রীজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৫৬ লক্ষ টাকা। তৎকালীন আসাম সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল হামিদ ও এক্সিকিউটিভ সদস্য রায় বাহাদুর প্রমোদ চন্দ্র দত্ত ব্রীজটি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী হানাদাররা ডিনামাইট দিয়ে ব্রীজের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগীতায় ব্রীজটির বিধ্বস্ত অংশ পুনঃনির্মাণ করা হয়। সর্বশেষ গত জোট সরকারের আমলে ক্বীন ব্রীজের ব্যাপক সংস্কার সাধন করা হয়। এর ফলে ক্বীনব্রীজ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা এক অনন্য সৌন্দর্য্য লাভ করে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার গঠনমূলক মন্তব্য ও সমালোচনা আমার লেখনীকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। দয়া করে অশালীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

Copyright © 2014 রিপন ঘোষের খেরোখাতা All Right Reserved
^
Blogger দ্বারা পরিচালিত.