আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে

Latest News:

শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

গোধুলির আভা

শেষ বিকেলের পড়ন্ত সূর্য্যরশ্নি যখন জানালার পর্দা ভেদ করে
তোমার কোমল গালে আলতো করে ছুঁয়ে যায়,
হালকা হলুদাভ আবেশ ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত মুখ ভঙ্গিমায়,
তখন সত্যি এক অদৃশ্য ঝড় বয়ে যায় আমার ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ের
প্রতিটি কোনায় কোনায়!

যখন অবাধ্য কেশগুচ্ছ কপালের স্নিগ্ধ জমিন ছেড়ে
ধীরলয়ে দোল খায় চোখের পাতায় পাতায়,
দীঘির কালো স্বচ্ছ জলের মতো যেন মিশে যেতে চায়
মায়াবী চোখের আনন্দ অশ্রুকণায়।

যখন নির্জন বিকেলে বয়ে যাওয়া চৈতালি হাওয়া
মধুর আবেশে আঁচড়ে পড়ে তোমার স্নিগ্ধ মুখাবয়বে,
ঠিক তখনি কেশগুচ্ছের আড়ালে দাঁড়িয়ে
কপালের ছোট্র টিপ তার উপস্থিতি জানান দিয়ে যায়।
জোড়া ভ্রু’র স্তব্ধতায় দীপ্ত ভঙ্গিতে অবস্থান করে,
উজ্জ্বল মায়াবী স্নিগ্ধতার মধুময় আবেশে,
তোমার সৌন্দর্য্যে যেন আরেকটু প্রলেপ মেখে দেয়,
মনহারা কাজলকালো টিপ!

কাজল কালো টিপের দীপ্ত উপস্থিতি আমার কাছে
মনে হয় প্রবল প্রতিদ্বন্ধীর মতো,
তুচ্ছ টিপের এমন সৌভাগ্যে
আমি যারপরনাই ঈর্ষান্বিত হয়ে যাই,
মনে হয় এখনি গিয়ে টুটি চেপে ধরি,
বুড়িগঙ্গার বিষাক্ত জলে শ্বাসরুদ্ধ করে
গলা ভর্তি পানি খাইয়ে ডুবিয়ে মারি।

যখন দুষ্টু অথচ মিষ্টি হাসি খেলে যায় তোমার চিবুকে,
তখন মনে হয় গোধুলীর আভা
উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে,
দোল পূর্ণিমার রঙ্গীন আবীরের ন্যায়
ছড়িয়ে পড়ছে তোমার ঠোটের কোনে।

ফাগুন সন্ধ্যাতে বসন্তের মৃদু উত্তাপে,
সামান্য ঘামের কণা যখন চিকন নাসিকা বেয়ে,
মুক্তো দানার মতো উজ্জ্বল্যে; বিন্দু বিন্দু হয়ে
গড়িয়ে পড়ে ঠোট অবধি,
মনে হয় দূরে ছুড়ে ফেলি
আমার যতো আছে ব্যবধি।

হে হৃদয়েশ্বরী,
তোমার মুখচ্ছায়ায় মুগ্ধ আমি!
আমার হৃদয় সমুদ্রে ভালোবাসার,
শুশুকেরা সাঁতার কাটে দিবানিশি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার গঠনমূলক মন্তব্য ও সমালোচনা আমার লেখনীকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। দয়া করে অশালীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

Copyright © 2014 রিপন ঘোষের খেরোখাতা All Right Reserved
^
Blogger দ্বারা পরিচালিত.